অঞ্জন দত্ত, জন্ম: জানুয়ারি ১৯, ১৯৫৩, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। আরো জানতে
এই ব্লগটা অঞ্জনের গান প্রেমীদের জন্য। আমার হাতে এখন অফুরন্ত সময়, অঞ্জনের গান শুনছি, ভাবলাম লিখে রাখি, পড়া যাবে কিন্তু তাও হচ্ছেনা। পায়ের সাথে চোখের সমস্যায়ও ভুগছি। শুনে শুনে লেখা তাই ভুল থাকবেই, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

ববি রায়

আকাশের রং কালো হয়ে এলো বৃষ্টি নামবে এখনি জানি তবু
ছেঁড়া ছাতা নিয়ে ভিজে ভিজে আমি থাকবো দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষায়
আরো একবার একই পথে চলে একই কথা বলে কাটবে সন্ধ্যেটা
তবু রাস্তা বদলে যেও না তুমি যেও না ফেলে আমায়


স্বপ্নের রঙ ফিকে হয়ে গেছে ভবিষ্যত আমার অনিশ্চিত
পেছনে আমার কানাগলি আর সামনে শুধুই গাঢ় অন্ধকার
গোলাপ কেনার সামর্থ নেই দেবার আছে শুধুই একটা গান
গানে গানে তাই করে যাই আমি তোমার কাছে একটাই আব্দার


ববি রায়ের সাথে চলে যেও না ছেড়ে যেও না
ববি রায়ের কথায় বয়ে যেও না ফেলে আমায়
জানি টাকা কড়ি আর মারুতি গাড়ির প্রয়োজন আছে
তবু হাল ছেড়ে দিও না
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- এ অসময়।


ছাপোষা এই টাইপিস্টকেই ভালো লেগেছিলো তোমার একদিন
টাইপ করার ফাঁকে তুমি চেয়েছিলে ভালোবাসার দাম
আঙুল আমাদের যন্ত্রের মতো লিখেছিলো শুধু ফরমায়েসি চিঠি
মন বলেছিলো অন্য কথা মন লিখেছিলো তোমার আমার নাম


বছর ঘুরে পদোন্নতির জোয়ারে তুমি ভেসে চলে গেলে দূরে
মেশিনপত্র গুটিয়ে নিয়ে চলে গেলে তুমি ববি রায়ের ঘরে
আজ তারই আব্দারে বাড়ছে তোমার ওভারটাইম বাড়ছে ঠোটের রং
তারই আব্দারে তারই গাড়ি চড়ে হয়তো ফিরবে তুমি তোমার ঘর


ববি রায়ের সাথে চলে যেও না ছেড়ে যেও না
ববি রায়ের কথায় বয়ে যেও না ফেলে আমায়
জানি টাকা কড়ি আর মারুতি গাড়ির প্রয়োজন আছে
তবু হাল ছেড়ে দিও না
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- এ অসময়


পৌনে একটা বাজতে চললো এখনো জ্বলছে ববির ঘরের আলো
ঘুমিয়ে পড়েছে অফিস পাড়া ঘুমিয়ে পড়েছে গেটের দারোয়ান
টাইপ মেশিন নীরব তোমার শুনতে পাচ্ছি শুধুই তোমার হাসি
হাসতে হাসতে করছো কি তুমি আমার ভালোবাসার অপমান?


জানি আমার মতোই তোমার ঘরে টনটন করে নিদারুণ অভাব
তবু পারবে কি কেউ দিতে তোমায় সত্যিকারের ভালোবাসার দাম
পারবে কি তুমি ভুলতে তোমার ভাঙা দেয়াল তোমার কানাগলি
পারবে কি তুমি ফেলতে মুছে মনের ভেতর টাইপ করা নাম?


ববি রায়ের সাথে চলে যেও না ছেড়ে যেও না
ববি রায়ের কথায় বয়ে যেও না ফেলে আমায়
জানি টাকা কড়ি আর মারুতি গাড়ির প্রয়োজন আছে
তবু হাল ছেড়ে দিও না
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- এ অসময়


আবার বলছি তোমায়

ববি রায়ের সাথে চলে যেও না ছেড়ে যেও না
শোনো ববি রায়ের কথায় বয়ে যেও না ফেলে আমায়
জানি টাকা কড়ি আর মারুতি গাড়ির প্রয়োজন আছে
তবু হাল ছেড়ে দিও না
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- এ দুঃসময়।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন